ঢাকা, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

বিপাকে স্বাস্থ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ১৮ ১০:৪২:৫৬
বিপাকে স্বাস্থ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

ওষুধটি প্রথমে প্রয়োগের অনুমতি দিতে পরে তা বন্ধ রাখতে বলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১০ দিন আগে সেটি আবার প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু আবারও ওষুধটি বন্ধ রাখতে বলেছে সংস্থাটি।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ সিদ্ধান্ত দেয়।

‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করা হয়েছে,’ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন সংস্থার বিশেষজ্ঞ আনা মারিয়া হেনাও-রেসট্রেপো।

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও ক্লোরোকুইন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছিল।

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক প্রতিষ্ঠান ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন ওষুধ নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি পুরনো বিভিন্ন ওষুধও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। পুরাতন ওষুধগুলোর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন।

ওষুধটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলমান থাকার এক পর্যায়ে গত ২৫ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হঠাৎ করে এর প্রয়োগ নিষিদ্ধ করে। মূলত একটি মার্কিন কোম্পানির জরিপের ফলাফল দেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই সংস্থার জরিপ নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য সন্দেহ দেখা দেয়ায় আবারও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মেডিকেল এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সার্জিস্ফিয়ার নামের একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের চালানো গবেষণাটি গত ২২ মে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ‘ল্যানসেট’ ও ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ এ প্রকাশ করা হয়।

গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের হাইড্রোক্লোরোকুইন ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

সার্জিস্ফিয়ার দাবি করে, তারা বিশ্বের ১২০০টি হাসপাতালের ৯৬ হাজার রোগী ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। ফলে তাদের এই গবেষণা বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেয় এবং দুনিয়ার তাবৎ প্রতিষ্ঠান একটিকে গুরুত্ব দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সার্জিস্ফিয়ারের গবেষণাকে মূল্যায়ণ করে হাউড্রোক্লোরোকুইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।

কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহের মাথায় আবারও ওষুধটি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইকোনোমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, হাইড্রোক্লোরোকুইন প্রয়োগ নিষিদ্ধ করার পর সার্জিস্ফিয়ারের গবেষণায় ত্রুটি ধরা পড়ায় মাত্রা ৯ দিনের মাথায় ৩ জুন সেটি আবার প্রয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে