ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ১৭ ১৭:৩৯:৩৩
‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’

এমনকি তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে মাস্ক কিনেও শিশুদের মুখে পরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় সেখানে প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলামসহ সব কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

পৌরসভার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র হিলি শহরে প্রবেশ করতে হলে সবার মুখে মাস্ক থাকাটা বাধ্যতামূলক। আর যাদের মুখে মাস্ক নেই তারা হিলিতে ঢুকতে পারবেন না। মূলত করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে গত সোমবার থেকে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নামে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। চলবে কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

শুধু এক স্থানে নয়, পৌর শহরের প্রবেশমুখ পৌর কার্যালয়ের সামনের সড়ক, রাজধানী মোড়, চারমাথা মোড়, সিপি টেম্পো মোড় এবং হিলি বাজারের অলি-গলিতে মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত পৌর কাউন্সিলর ও পৌরসভার কর্মীদের নিয়ে এই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ সময় যেসব পথচারী, অটোভ্যানচালক, পরিবহনচালক, হেলপারসহ যাত্রীদের মুখে মাস্ক আছে তাদেরই শুধু হিলিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। আর যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে বাড়ির দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এই প্রথম হিলিতে পৌরসভার উদ্যোগে এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছে পৌর বাসিন্দাসহ পাশের উপজেলা থেকে হিলিতে আসা অনেকেই। কথা হয় পৌর শহরের চুড়িপট্টির বাসিন্দা লুৎফর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, মেয়র জামিল হোসেন চলন্তের এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে মুখে মাস্ক ছাড়া কেউ এখানে আসতে পারবে না। এখন থেকে মাস্ক ছাড়া দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভায় কেউ ঢুকতে পারবেন না। ছবি : এনটিভি

মহিলা কলেজ এলাকার গৃহিণী হামিদা আকতার বলেন, ‘এটি একটি ব্যতিক্রম প্রচারণা। এর ফলে সবাই মাস্ক পরতে অভ্যস্ত হবে।’

পালপাড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। আমার মুখে মাস্ক ছিল। কিন্তু মেয়ের মুখে মাস্ক ছিল না। পৌরসভার অফিসের সামনে মেয়র আমাকে দাঁড় করিয়ে ফ্রিতে আমার মেয়ের মুখে একটি মাস্ক পরিয়ে দেন।’

বিরামপুর পৌরসভার ঘাটপাড় এলাকার বাসিন্দা মোকাররম হোসেন বলেন, ‘জরুরি কাজের জন্য হিলিতে আসি। তাই মাস্ক পরতে খেয়াল ছিল না। মনে করেছি সব কিছু শিথিল হয়ে গেছে। তাই এভাবে চলে আসি। কিন্তু হিলির চারমাথা মোড়ে এলে পৌরসভার লোকজন আমার মুখে মাস্ক না থাকায় সামনের দিকে যেতে দেননি। পরে সিপি রোডের একটি দোকান থেকে মাস্ক কিনে মুখে লাগিয়ে আবার চারমাথায় আসি। সাময়িক অসুবিধা হলেও এখানকার উদ্যোগ প্রশংসীয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও জনগণকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনার জানেন যে, সংক্রমণের হার বিবেচনায় দিনাজপুর জেলা রেড জোনের তালিকায়। সেদিকে থেকে আমরা হিলিবাসী অনেক ভালো আছি। আরো ভালো থাকার জন্য এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে এভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সেই আলোকে জনগণকে মাস্ক ছাড়া পৌরসভার অভ্যন্তরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। তাতেও যদি কোনো কাজ না হয়, তাহলে এ সম্পর্কিত যে আইন আছে সেটি প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে