ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দিনের শুরুতেই ব্যাংকারদের চন্ন চরম দুঃসংবাদ দিল বিএবি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ১৬ ১০:৪১:৩৯
দিনের শুরুতেই ব্যাংকারদের চন্ন চরম দুঃসংবাদ দিল বিএবি

একই সঙ্গে কর্মীদের পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেন্টিভ বোনাস বন্ধ করাসহ ব্যাংক বাঁচাতে ১৩ দফা সুপারিশ করেছিল সংগঠনটি। এদিকে ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকরা বেতন কমাতে চায় এমন খবরে সোমবার (১৫ জুন) বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ব্যাংক কর্মীরা জানান, করোনার মহামারিতে এমনিতেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যেকোনো সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এখন যদি ব্যাংক বেতন-ভাতা কমায় তাহলে তাদের ওপর এটি বাড়তি মানসিক ও অর্থনৈতিক চাপ ছাড়া কিছুই না।

এ বিষয়ে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে অনেক ব্যাংকার ও তাদের পরিবার আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংকাররা কর্মস্থলে আসছেন, গ্রাহকের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এই সময় ব্যাংকারদের বেতন-ভাতা কমানো কোনো মতেই ঠিক হবে না। এতে তাদের মনোবল ভেঙে যাবে। কর্মস্পৃহাও কমে যাবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেতন-ভাতা কমানোসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে বিএবির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে চলমান নিয়োগসহ সব নিয়োগ বন্ধ রাখার সুপারিশও করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও উপ-শাখা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুপারিশ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বিএবি।

১৩ দফা সুপারিশ সম্বলিত চিঠিতে আরও আছে, সব প্রকার স্থায়ী সম্পদ ক্রয় বন্ধ রাখা, কর্মীদের লোকাল ও বিদেশি প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখা, সব বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা, সব প্রকার সিএসআর, ডোনেশন, চ্যারিটি বন্ধ রাখা, পত্রিকা (প্রিন্ট ও অনলাইন) ও টেলিভিশনে সব প্রকার বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখা, সব কাস্টমার গেট-টুগেদার বন্ধ রাখা।

চিঠিতে বিএবি বলেছে, কর্মকর্তাদের গেট-টুগেদার ও ব্যবস্থাপক সম্মেলন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে এসব সম্মেলন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিজস্ব পরিমণ্ডলে করতে হবে। এ ছাড়া বড় ধরনের ব্যয় (আইটি সম্পর্কিত, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ক্রয়) আপাতত সীমিত রাখা এবং অন্য সব ব্যয় কমিয়ে আনা।

এদিকে, আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মীদের ১৬ শতাংশ বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, করোনার কারণে এখন নতুন কোনো ব্যবসা নেই। অন্যদিকে সব ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনায় আয় কমে গেছে। ব্যয় বেড়ে ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১০০ টাকার আয়ে ৬৬ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এখন ব্যাংক বাঁচাতে ব্যয় কমানো ছাড়া উপায় নেই। এসব বিবেচনায় কর্মীদের চাকরি থেকে ছাঁটাই না করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২২ জুন পর্ষদ সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ডিসেম্বর ভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, দেশে কার্যরত ৫৯টি ব্যাংকে বর্তমানে জনবল রয়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৩০ জন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকে আছেন এক লাখ ৯ হাজার ১২৭ জন। বিদেশি ব্যাংকে তিন হাজার ৮৫৮ জন। সরকারি ব্যাংকে ৬৫ হাজার ৪৪৫ জন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে