ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দেশে পোশাক শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে যা বললেন বিশ্লেষকরা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ০৬ ১২:০৬:৫৪
দেশে পোশাক শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে যা বললেন বিশ্লেষকরা

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্রয়াদেশ ভিয়েতনামে যাওয়া ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, বৈশ্বিক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে উৎপাদন বাড়ানো না গেলে, মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের পোশাক শিল্প।

বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সফল দেশ ভিয়েতনাম। চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত থাকার পরও কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে পেরেছে দেশটি। ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, লকডাউন ঘোষণা হলেও, খোলা রাখা হয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। ইউরোপ-আমেরিকায় মাস্ক-পিপিই উপহার পাঠিয়ে নতুন কৌশলে বাজার ধরেছে দেশটি।

ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, ভিয়েতনাম বিভিন্ন দেশকে ফেস মাস্ক ডোনেশন করে গার্মেন্টস পোশাক হিসেবে।

বিজিএমইএ-র তথ্য বলছে, গেলো মে মাসেই কেবল ৬২ শতাংশ পোশাক রফতানি কমেছে। ক্রয়াদেশ চলে যাচ্ছে ভিয়েতনাম ও চীনে।

বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, আগামী দুমাস পরে বাংলাদেশ সেই পরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতা থাকবে না। অনেক কারখানা এমনিই বসে যাবে কাজ না থাকার কারণে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থায় উৎপাদন না বাড়িয়ে শ্রমিক ছাঁটাই ডেকে আনতে পারে বড় বিপর্যয়।

গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, নতুন বাজারে পণ্য পাঠানোর চেষ্টা করতে হবে। উৎপাদন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

তারা আরো বলছেন, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করা ও বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী রফতানি করা না গেলে আগামীতে আরও প্রকট হবে পোশাক খাতের সংকট।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে