ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দেশে আরও শতাধিক গ্রামে ঈদ ফিতর উদযাপন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মে ২৪ ১৩:৩১:১১
দেশে আরও শতাধিক গ্রামে ঈদ ফিতর উদযাপন

লক্ষ্মীপুর: রোববার সকাল ৭টায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে মাওলানা রুহুল আমিন ইমামতি করেছেন। এ সময় করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চায় মুসল্লিরা।

জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে। তারা পৃথকভাবে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন।

এ ব্যাপারে মাওলানা রুহুল আমিন জানান, এসব মানুষ মাওলানা ইসহাক (রাঃ) এর অনুসারি। এজন্য পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখেছে। আবার রোজা ভেঙে ঈদ পালন করছে। সব ধর্মীয় উৎসব একইভাবে পালন করা হয়। গত ৪১ বছর ধরেই তারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।

পিরোজপুর: নাজিরপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার নাজিরপুরে রোববার শতাধিক পরিবার ঈদ উদযাপন করছে। সৌদী আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব পরিবার ঈদ পালন করছে।

জানা গেছে, উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার এ ঈদ উদযাপন করছেন।

জেলার নাজিরপুরের শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা ইউপি সদস্য মো. বাবুল খান জানান, তারা শতাধিক পরিবারের ৩৫ পুরুষ স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে রোববার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান।

তারা প্রায় এক যুগ ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করছেন। প্রতি বছরে পার্শ্ববর্তী কচুয়া ও পিরোজপুর সদরের কিছু পুরুষ লোক এ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন। কিন্তু চলতি বছরে করোনা সমস্যার কারণে তাদের আসতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে তারা আসেননি।

তিনি আরও জানান, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গত ২৪ এপ্রিল শুক্রবার থেকে রোজা শুরু করেন। আর সে অনুযায়ী গতকাল শনিবার তাদের ৩০টি রোজা পূর্ণ হওয়ায় আজ রোববার তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

চাঁদপুর: হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার ৪০টি গ্রামে রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে এসব গ্রামের মুসলমানরা সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করে আসছে।

যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপন হচ্ছে তার মধ্যে আছে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলঁচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল।

এছাড়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেনাগাঁও, বাশারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া, মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী এবং কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।

এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। গ্রামের ছোট শিশুরা এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করছে।

মাদারীপুর: টেকেরহাট প্রতিনিধি জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।

জানা গেছে, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা প্রায় দেড় শত বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্রিসহ মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের ৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে