ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যে কারনে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মে ১৭ ১৭:১৪:১৩
যে কারনে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় এ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর এ সময় সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এই ৬৫ দিন সব ধরনের ট্রলারের মাধ্যমে মাছ ও ক্রিস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিস ইত্যাদি) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। নিয়ম ভাঙলে সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এবং সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আজ (রোববার) একটি অনলাইন সভা জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এতে সভাপতিত্ব করবেন।

সভার নোটিশ থেকে জানা গেছে, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সব ধরনের মৎস্য নৌযানের মাছ ধরা বন্ধ নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের জলসীমায় বিদেশি ট্রলারের অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম জোরদারেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সভায় নৌবাহিনী, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, নৌপুলিশ, সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা এবং উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা অনলাইন সভায় উপস্থিত থাকবেন।

মৎস্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেখা গেছে প্রতি বছর জুন থেকে আগস্ট মাসে সাদা মাছের আহরণ তুলনামূলক কম। প্রতি বছর তা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টরা মাছের প্রজননকাল বিবেচনায় প্রতি বছর জুন ও জুলাই মাসে সাদা মাছের আহরণ আইন করে বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে