মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য চরম দুঃসংবাদ, বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দোকান

বাংলাদেশীদের মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্নধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে মুদি দোকান এবং খাবার দোকান বা রেস্টুরেন্ট। যেগুলো মালয়েশিয়াতে তথা বিশ্বের সকল দেশের বাংলাদেশী অভিবাসীদের কাছে বাংলা দোকান নামে পরিচিত। তবে এইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগই মালয়েশিয়ার নিয়মকানুন মেনে পরিচালনা করা হয় না। বাংলা দোকান গুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে লাইসেন্স বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে থাকে নানা সমস্যা।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় মালয়েশিয়ান নাগরিকদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় অর্থাৎ কাগজপত্রে মালিক স্থানীয় মালেয় নাগরিক আর আর্থিক ইনভেস্ট বা পুঁজি সবগুলো বাংলাদেশীদের আর প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবসা চালাতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এইভাবে ব্যবসা পরিচালনার করতে গিয়ে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা বিভিন্নরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়।
এসব সমস্যার কথা জেনেও ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কিছু অংশ। আবার কিছু অংশ রয়েছেন স্থানীয় মালয়েশিয়ান মেয়ে বিয়ে করে তার মাধ্যমে ব্যবসায়ীক লাইসেন্স বানিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তবে এক্ষেত্রেও ঝামেলার কমতি নেই এইসব দোকান গুলোতে অভিযান পরিচালনায় ডিবিকেএল বা এমবিপিজে, এমপিক্লাং ইত্যাদি পৌরসভার অফিসারগন সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করলে বিভিন্ন সমস্যা খুজে বের করে যা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (SOP) পরিপন্থী।
পরিশেষে গুনতে হয় জরিমানা অথবা সকল মালামাল জব্দ করে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে মালয়েশিয়ার সকল পৌরসভা ও সিটি কাউন্সিল গুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছে। বর্তমানে প্রতিদিন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বহু ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান যার সিংহভাগই বাংলাদেশীদের। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশী হটস্পট এলাকাগুলো যেমন বুকিত বিনতাং, চৌকিট, কোতারায়া ইত্যাদি এলাকায় গত ১ সপ্তাহে কমপক্ষে ৩০-৪০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করে সিলগালা বা তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম, ক্লাং জেলার বিভিন্ন অঞ্চল, পাতালি জায়ার বিভিন্ন এলাকা, ও অন্যান্য রাজ্য গুলোতেও অভিযান চালানো হচ্ছে।
লাইসেন্স ছাড়াও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (SOP) অনুযায়ী প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফ্রন্ট ডেস্ক অর্থাৎ ক্যাশ কাউন্টার বা ক্যাশিয়ার হিসেবে অবশ্যই স্থানীয় নাগরিক থাকতে হবে যা বেশিরভাগ বাংলা মুদি দোকান, খাবার দোকান ইত্যাদিতে থাকেনা। বাংলা মুদি দোকান গুলোতে কাঁচামাল, মাছ, মাংশ, মুরিগী বেচাকেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই অনুমোদন না নিয়ে অনেক বাংলা দোকান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলা দোকান গুলোতে মুরগী, গরুর মাংস বেচাকেনার ক্ষেত্রে দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ, নোংরা আবর্জনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।
যেসব কারণে অনেক স্থানীয় নাগরিকরাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ প্রদান করে। গত কয়কদিনের অভিযান মূলত স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগ অনুযায়ী চালানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশীদের ব্যবসা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রবাসী - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার