কমে গেলো চালের দাম, জেনে নিন বর্তমান বাজার দর
এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিলগেট থেকে চাল প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়ায় মোকামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালে কমেছে সর্বোচ্চ ৬শ’ টাকা। এতে রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ৭ টাকা কমেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে এবার আউশ ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য বেশি মাত্রায় উৎপাদনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বিপণনের ব্যবস্থা নিচ্ছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে। যে যেভাবেই পারবেন প্রতিটি ইঞ্চি জায়গার সদ্ব্যবহার করবেন। বাড়ির উঠানে, আশপাশে তরিতরকারি, ফল-মূলের গাছ লাগালেও পরিবারের কাজে লাগবে।
এছাড়া কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রীকেও বিশেষভাবে নজরদারি করতে বলেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ২০৩ লাখ ৮৯ হাজার টন বোরো ধান।
এছাড়া ২০১৯-২০ চলতি অর্থবছরে ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০৪ লাখ ৩৬ হাজার টন।
অধিদফতরের সরেজমিন উইং সূত্র বলছে, দেশের হাওর অঞ্চলসহ যেসব জায়গায় বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে, সেখানে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে ৪৮ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। তাই ধান কাটার পর মোট উৎপাদনের চিত্র বলা যাবে। আর এ ধান থেকে প্রস্তুত করা চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট মোকাবেলা ও খাদ্য মজুদ ঠিক রাখতে বোরো ধানের পর এবার আউশ ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
সেক্ষেত্রে প্রতিবছর ৩০ লাখ টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এবার আসন্ন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টন। আর এ বেশি উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সেচের রেট ৫০ শতাংশ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার ৫শ’ টন হাইব্রিড ও উফশি জাতের বীজ ইতোমধ্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, কৃষকরা করোনা মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে। কৃষি কর্মকর্তারাও তাদের সাহায্য করছেন। ইতোমধ্যে দেশে খাদ্য মজুদ গড়তে আসন্ন মৌসুমেও বেশি করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই করোনায় দেশে কৃষিপণ্যের সংকট হবে না।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ যুগান্তরকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষক মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করছে। তাই কৃষকদের শাক-সবজি এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে বিপণনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া, নওগাঁ ও দিনাজপুরের চালের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ দিন প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২১শ’ টাকায়। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৭শ’ টাকায়। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, বস্তায় দাম কমেছে ৬শ’ টাকা।
এছাড়া প্রতিবস্তা নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ২৪৫০ টাকা। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৬৫০ টাকায়। সেক্ষেত্রে নাজিরশাল চালে বস্তায় কমেছে ২শ’ টাকা। বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৮শ’ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২১শ’ টাকা। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৭৫০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকা।
কুষ্টিয়া জেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন যুগান্তরকে বলেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল মিল পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে। ধান থেকে চাল প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এতে মোকামে ৫০ কেজি চালের বস্তায় সর্বোচ্চ ৬শ’ টাকা কমেছে।
সামনে চালের দাম আরও কমবে।
রাজধানী সর্ব বৃহৎ চালের পাইকারি আড়ত বাদামতলী ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়। প্রতিকেজি নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকায়।
বিআর-২৮ চাল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৪৪ টাকায়। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকা কেজি। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, নতুন ধান আসায় মোকামে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। এ কারণে পাইকারিতেও চালের দাম কমছে। তবে আর কয়েকদিন পর পুরোপুরি ধান কাটা হলে চালের দাম আরও কমে আসবে। তিনি জানান, করোনার এ সময় বাজারে চালের কোনো সংকট নেই।
অন্যদিকে রাজধানীর নয়াবাজার, মালিবাগ বাজারের খুচরা চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫৩-৫৪ টাকায়। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হয়েছে ৫৬-৫৮ টাকায়। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৬০-৬২ টাকায়। এছাড়া বিআর-২৮ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪১-৪২ টাকা। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা। আর মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকা, যা ১৩ দিন আগে আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়।
মালিবাগ বাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক মো. দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম গত ১৫ দিন ধরে কমছে। কারণ চাহিদার থেকে সরবরাহ বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে কম দামে এনে কম দামে বিক্রি করছি।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আইপিএল নিলাম: ২কোটি ৭০লাখ রুপিতে যে দলে সাকিব, দেখেনিন মুস্তাফিজ ও তাসকিনের অবস্থান
- দেশে টাকা পাঠানোর উত্তম সময়: সৌদি রিয়াল রেটের অবিশ্বাস্য লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল পতন, দেখেনিন আজকের রেট কত
- ব্রেকিং নিউজ: আইপিএল নিলামে ঝড় তুললেন নাহিদ রানা
- IPL নিলামে ঝড় তুলেছেন তাসকিন, ৫ কোটি রুপিতে যে দলে তাসকিন, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- IPL 2025 Auction: ৫ কোটি রুপিতে যে দলে তাসকিন, দেখেনিন মুস্তাফিজের অবস্থান
- আজকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পাল্টে গেল বাংলাদেশের ১৮ বছরের ইতিহাস
- টি-টেন লিগে আকাশ ছোয়া মুল্যে দল পেলেন সৌম্য সরকার, দেখেনিন যে দলের হয়ে খেলবেন
- প্রথম দিনেই কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী চারে দিকে উঠলো প্রশংসার ঝড়
- ৩ পরিবর্তন নিয়ে শেষ ওয়ানডে ম্যাচের জন্য শক্তিশালী একাদশ ঘোষণা করলো বাংলাদেশ
- অনেক দিন পর সাব্বিরের ব্যাটে চার ছক্কার ঝড়
- যে কারণে সাকিবকে বাতিল ঘোষণা করলো আইসিসি
- ব্রেকিং নিউজ: নাজমুল হোসেন শান্তকে হারালো বাংলাদেশ
- খেলার মোড় ঘোরালেন নাসুম আর ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলেন অন্য যে ক্রিকেটার
- ব্রেকিং নিউজ: বাতিল ঘোষণা করলো আইসিসি, মুখ খুললেন সাকিব